শনিবার, ০৭ Jun ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
বাসাইলে বালু উত্তোলনে দেবে গেছে সেতু।ছবি-সংগৃহীত
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : গত বছর বালু উত্তোলন করায় দেবে গেছে সেতু। ফলে পারাপার বন্ধ। এবার সেতুর অদূরে নদী থেকে বিশাল গর্ত করে বালু তোলা হচ্ছে।
সামনের বর্ষায় তাই ভাঙনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার দাপনাজোর গ্রামে। এলাকার মানুষ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোর গ্রামটি ঝিনাই নদীর পাড়ে। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরে এ গ্রামে নদী থেকে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় কিছু লোক শুকনা মৌসুমে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে।
এভাবে বালু তোলায় বর্ষা মৌসুমে গ্রামটি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। নদী ভাঙনের কারণে এ গ্রামের ঈদগাহ মাঠসহ অনেক জমি এবং বাড়িঘর গত বছর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামটির সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন করায় গত বছর বর্ষায় সেতুটি দেবে গেছে।
১৯৯৮ সালে এলজিইডির নির্মিত দেড়শ’ মিটার এ সেতুটির গোড়া থেকে বালু উত্তোলনের সময় স্থানীয় লোকজন উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েছে; কিন্তু তারা সেসময় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। গত বর্ষা মৌসুমে সেতুটি দেবে যাওয়ায় এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে এলজিইডি। ফলে বাসাইল উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।
এ বছর স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোহসিনউজ্জামান এবং সাবেক ইউপি সদস্য মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে সেতু থেকে কিছুদূর উত্তরে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভেকু দিয়ে নদীর বালু ও মাটি কেটে ট্রাকে করে বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক যাওয়া-আসা করায় রাস্তাও দেবে যাচ্ছে।
ঝিনাই নদের পাড়ে বালু উত্তোলন করায় বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মূল রাস্তা থেকে নদের ভেতর দিয়ে ট্রাক নেয়ার জন্য রাস্তাও তৈরি করেছে তারা।
তবে ওইদিন বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। স্থানীয়রা জানায়, বালু উত্তোলনকারীরা পুরো মৌসুম বালু উত্তোলন করে। তবে কৌশল হিসেবে মাঝে মধ্যে বন্ধ রাখে।
ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেন জানান, বালু তোলায় একদিকে নদী ভাঙনের শিকার হতে হবে। অপরদিকে শতশত ট্রাক বালু পরিবহন করায় গ্রামের নতুন তৈরি করা রাস্তাটিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান জানান, তিনি এবং বর্তমান ইউপি সদস্য মো. মোহসিনউজ্জামানসহ গ্রামের কিছু লোক মিলে বালু উত্তোলন করেছেন।
তবে তারা সরকারি জায়গা থেকে বা নদী থেকে বালু তোলেননি। ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা থেকে বালু কিনে তুলে বিক্রি করেছেন। আপাতত বালু বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না জানান, দাপনাজোর গ্রামে অবৈধভাবে বালু বিক্রির বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এাসএস